একজন মুসলমানের মৃত্যুর পর যত দ্রুত সম্ভব কাফন-দাফন করাতে হয়। এক হাদিসে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত আলি (রা.)-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলি! তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না। ১. নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না। ২. মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না। ৩. কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না। (তিরমিজি: ১/২০৬)
আরও পড়ুন: বিশ্বে ইসলাম ধর্ম পালনে শীর্ষ ৬ দেশ
মানুষের মৃত্যু পরবর্তী ধাপ কবর। অনেকেই নিজের মৃত্যু পরবর্তী কবরের জায়গা জীবদ্দশাতেই ঠিক করে রাখতে চান।ইসলামি শরিয়তে এভাবে নিজের কবরের জায়গা নির্ধারণ করে যাওয়া কি জায়েজ?
ইসলামি শরিয়তে, যদি কোনো জমি কবরস্থানের জন্য ওয়াকফ করে দেয়া হয় তাহলে সেখানে কোনো ব্যক্তি বিশেষের কবরের জন্য জায়গা নির্ধারণ করার অনুমতি নেই। কারণ, ওয়াকফ করে দেয়ার কারণে এই কবরস্থানের জায়গায় সাধারণ মানুষের অধিকার রয়েছে এবং তা জনসাধারণের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত হয়ে গেছে। তবে কেউ নিজের মালিকানাধীন জায়গায় কবরের জন্য জায়গা নিধারর্ণ করে রাখতে চাইলে এতে কোনো সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর পর শিশুরা কোথায় থাকে?
এভাবে মালিকানাধীন জমিতে কবরের জন্য জায়গা নির্ধারণের বিষয়টি কোনো হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত নয়। তবে হজরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রহ.)-এর পক্ষ থেকে এমন কাজের বিষয়টি সাব্যস্ত। তিনি মৃত্যুর আগে ১০ অথবা ২০ দিনারে নিজের কবরের জন্য জায়গা কিনেছিলেন। (সিরাতে ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ: ৯৯; সিয়ারু আলামিন নুবালা: ৫ম খণ্ড ১৪৪)
]]>