‘নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান ও মানবতার জয়গান’-এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এবার দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় নানা সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। পরে শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণের প্রস্তুতি
এর আগে দিবসটির শুরুতেই সকাল সোয়া ৮ টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান তার বাসভবনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে অতিথিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বৈশাখী গান ও বাঙালির ঐতিহ্যের খাবার পরিবেশন করা হয়।
শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে উপাচার্য ড. কামরুল আহসান বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ভুলে আমরা বারবার হোঁচট খেয়েছি। তবে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আমাদের দেশ গড়ার স্বপ্নকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে। দল-মত নির্বিশেষে আমরা একসাথে এক নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
শোভাযাত্রায় অংশ নেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এছাড়াও অংশগ্রহণ করেন জাবি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক এবং মহিলা ক্লাবের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বর্ণিল আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা
এদিকে নববর্ষ উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল-দীন মুক্তমঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এবং ছাত্র-কল্যাণ ও পরামর্শকেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংগীত, নৃত্য, নাট্যসহ নানা পরিবেশনা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ আয়োজন করে বইমেলা, পুতুলনাচ, যাত্রাপালা, অন্তর বাদন, লোকনাট্যসহ নানা বর্ণিল আয়োজন।