বৈশাখী শোভাযাত্রা করার নানা মোটিভ বানাতে দিনরাত সমানতালে কাজ করেছেন তারা। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একতা ও গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ও দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিপাদ্য নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘গাজীর পট ও জোড়া পাখি’। আরও আছে বৈশ্বিক সংগ্রামের প্রতীক ‘মুষ্টিবদ্ধ হাত’।
এদিকে বর্ষবরণকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিভিন্ন অনুষদ, অফিস এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সকালে পুরাতন কলা ভবন থেকে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে। বিকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডিসি হিলে নববর্ষের অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর
চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজা লিমা বলেন, ‘গ্রামীণ জীবন ও আবহমান বাংলার লোকজ সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলে প্রতি বছরের ন্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রঙিন মুখোশ, মাটির সরা এবং লোকজ মোটিফ নিয়ে এবারের বৈশাখ উদযাপন করতে যাচ্ছে। আমরা আগামীতে একটি সুন্দর সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। এই প্রত্যয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া দেশব্যাপী এবং বিশ্বব্যাপী যেসকল অস্থিরতা ও মানবিক বিপর্যয় চলছে তা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আমাদের বৈশাখ আয়োজনে কাজ করে যাচ্ছি।’
চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামীম রেজা বলেন, ‘এবারের প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান ও মানবতার জয়গান’ এর সঙ্গে মিল রেখে এবারের সবগুলো প্রদর্শনী নির্মাণ করেছি। সোনালি ডানাওয়ালা সাদা পাখির মাধ্যমে চঞ্চল তরুণদের সোনালি সময় ও অন্তরের শুভ্রতার ঐকতানকে বোঝানো হয়েছে। দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতীক হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে ‘গাজীর পট ও জোড়া পাখি’। আরও আছে বৈশ্বিক সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে ‘মুষ্টিবদ্ধ হাত’ তৈরি করা হয়েছে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখে রাজধানীর যেসব জায়গায় ঘুরবেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ. কে. এম. রাশিদুল আলম বলেন, বাংলা ১৪৩২ বর্ষবরণ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। দিনব্যাপী নানা আয়োজন ঘিরে ক্যাম্পাসে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ঘুরাঘুরি ও বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধসহ সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি গেটে থাকবে বাড়তি পুলিশ।