শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার উপজেলার দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মোতাহার হোসেন জানান, বিকেলে গহরদী বাদশাবাড়ী এলাকায় উপজেলা জামায়াত ইসলামীর পূর্ব নির্ধারিত পথসভা ও গণসংযোগ পরিচালনা করছিলেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় হঠাৎ স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহজাহান শিকারী, শাহপরান শিকারী ও শাহজালাল শিকারীসহ ১২/১৩ জন লাঠিসোটা নিয়ে পথসভায় বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে জামায়াতে ইসলামের মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ মাহবুবুর রহমান, জামায়াতকর্মী আসাদুল্যাহ, কাউসার, আলাউদ্দিন, ওসমান, নুরু মিয়া ও আলাউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও পিটিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের মধ্যে হাফেজ মাহবুবুর রহমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে র্যাবের গাড়িতে বিএনপির হামলা
এ ব্যাপারে জানতে বিএনপি নেতা শাহজাহান শিকারীর ও ইউসুফ শিকারীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসূফ আলী ভূঁইয়ার দাবি, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পথসভা করায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে সেখানে বাধা দেন। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের কারো কিছু হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগের আমলে যারা আমাদের নির্যাতন করেছেন জামায়াত ইসলামী তাদের সঙ্গে নিয়ে পথসভা করছিল। সেজন্য আমাদের বাধা দিয়েছেন। এ সময় একটু কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। তেমন বড় কিছু হয়নি।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় মেলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১১
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, ‘জামায়াতের নেতাকর্মীরা আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। তাদের ভাষ্য বিএনপির লোকজন পথসভায় বাধা দিয়েছে বা হামলা করেছে। তাদের কিছু নাম আমাদের কাছে বলেছেন। আমরা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।