জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে হাইকোর্টের রায় ন্যায়সংগত ছিল না

৪ দিন আগে
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া আপিল বিভাগের রায় প্রকাশ হয়েছে।

রোববার (১ জুন) বিকেলে রায় প্রকাশ হয়। রায়ে বলা হয়েছে- নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় ন্যায়সংগত ছিল না।

 

এরআগে, সকালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে এক যুগ আগে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

 

পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আদালতের নির্দেশনা ইসিতে পৌঁছালে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 



এদিকে আপিল বিভাগের রায়ে বলা হয়, দলটির ক্ষেত্রে পেন্ডিং (অনিষ্পন্ন) রেজিস্ট্রেশন ইস্যু এবং অন্য কোনো ইস্যু যদি থেকে থাকে, তা সাংবিধানিক ম্যান্ডেট (বিচারগত ও আইনগত) পুরোপুরি প্রয়োগ করে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেয়া হলো।



গত ১৪ মে দলটির করা আপিল ও লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ১ জুন তারিখ ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আজ সকাল ১০টার পর রায় ঘোষণা করেন আদালত।

 

আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশনা হাতে পৌঁছালে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব 



রায়ের পর জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আজকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়েরে মাধ্যমে তার নিবন্ধন ফিরে পেল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলার মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আজকের এই রায়ের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক এবং অংশগ্রহণমূলক সংসদ প্রাপ্তি নিশ্চিত হলো।’ 



জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে রায়ের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় আমরা মহান রবের শুকরিয়া আদায় করছি আল-হামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় জুড়ে আইনি লড়াই-সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে আজ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। এই রায়ের মাধ্যমে আরও একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হলো। আপিল বিভাগের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন