জান্নাত লাভের বিশেষ ৪ আমল

২ সপ্তাহ আগে
সবাই জান্নাতে যেতে চায়। এটি খুব সুপরিচিত শব্দ। এ নামটি শুনলেই হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব হয়। জান্নাত আরবি শব্দ; এর অর্থ: স্বর্গ, বাগান, উদ্যান, সুখময় স্থান ইত্যাদি।‌ ইসলামি পরিভাষায় পার্থিব এ জীবনের অবসানের পর মুমিন বান্দাদের জন্য যে চিরশান্তির আবাসস্থল তৈরি করে রাখা হয়েছে, তাকে জান্নাত বলা হয়। এটি সৎকর্মশীলদের চূড়ান্ত আবাসস্থল।

এখানে জান্নাত লাভের ৪ আমল তুলে ধরা হলো:

 

ফরজ নামাজের পর ‘আয়াতুল কুরসি’ পড়া

 

আয়াতুল কুরকি পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। এটি কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত।রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

 

প্রতিটি জিনিসের একটি চূড়া থাকে। কোরআনের চূড়া হলো সুরা বাকারা। তাতে এমন একটি আয়াত আছে, যা কোরআনের অন্যসব আয়াতের ‘নেতা’। সেটা হলো আয়াতুল কুরসি। (তিরমিজি: ৩১১৯) 

 

আরও পড়ুন: ওয়াজ মাহফিলে সুদের বিরুদ্ধে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ
 

অজুর পর কালেমা শাহাদাত পড়া

 

অজুর শেষে এ দোয়া ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ; ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ’ পড়লে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হয়। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম: ৩৪৫)

 

আজানের উত্তর দেয়া

 

আজানের উত্তর (তথা মুয়াজ্জিন যা বলে অনুরূপ বলা, তবে হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহের উত্তরে লা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ বলা) দেয়ার কারণে মানুষ জান্নাতে যাবে। (মুসলিম: ৩৮৫; আবু দাউদ: ৫২৭)

 

আরও পড়ুন: বদর যুদ্ধে সন্তানের শাহাদাতের খবরে আনন্দিত হয়েছিলেন যে মা


প্রিয়জনকে হারিয়ে সওয়াবের আশায় ধৈর্যধারণ করলে জান্নাত

 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ বলেন, 

 

আমি যখন আমার মুমিন বান্দার কোনো প্রিয়বস্তু দুনিয়া হতে উঠিয়ে নেই আর সে ধৈর্য ধারণ করে, আমার কাছে তার জন্য জান্নাত ছাড়া অন্যকিছু (প্রতিদান) নেই। (বুখারি: ৬৪২৪)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন