শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় এক সমাবেশে এ দাবি করেন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা৷ এসময় ইউএন (জাতিসংঘ) মানবাধিকার অফিস সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলেও দাবি করেন তারা।
এর আগে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন এবং ইসলামপন্থিদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মতিঝিলে সমাবেশ স্থলে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গি শব্দের অপপ্রয়োগ শুরু হয়েছে। যারা ইসলামি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন, তাদের কণ্ঠরোধ করার জন্য এ শব্দের অপব্যবহার করা হয়। এই সংস্কৃতি বিগত আওয়ামী সরকার চালু করেছিল। দেশের আপামর ধর্মপ্রাণ জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া কার্যকর সংসদ কল্পনাতীত: খেলাফত মজলিস
বক্তারা আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বিশ্বের যতগুলো দেশে আছে, সেগুলোর অর্ধেক গৃহযুদ্ধ আর বাকি অর্ধেক অরাজকতায় জর্জরিত। বাংলাদেশে কোনো গৃহযুদ্ধ- অরাজকতা না থাকলেও মানবাধিকারের অফিস খুলে দেশকে বিশৃঙ্খল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সরকারের সমালোচনা করে তারা বলেন, জাতিসংঘ যদি সত্যি বিশ্ব মানবাধিকার নিয়ে চিন্তিত থাকে তবে তাদের উচিত ফিলিস্তিন, বার্মা বা আসাম- গুজরাটে অফিস খোলা৷ কিন্তু সেটা না করে সমকামীতা, বিকৃত যৌনাচারকে অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এদেশে তারা কার্যক্রম চালাতে চায়। সরকার ইসলামি নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে তাদেরকে অফিস খুলতে সহায়তা করছে, যা অনুচিত।
আরও পড়ুন: চার ইসলামী দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
সমাবেশে বক্তব্য দেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি, মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানী, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, লেখক আহমদ রফিক, আসিফ আদনান প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরীস নদভী।
]]>