জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলো বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি

১ সপ্তাহে আগে
বুধবার দুই ডজনের বেশি বিশ্বনেতা জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তাদের অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নিজ দেশের আবহাওয়া সংক্রান্ত বিপর্যয়ের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।  ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ বলেন, “গত এক বছরে স্পেন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং একইসঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ক্রমবর্ধনশীল তাপমাত্রার ভয়াবহ প্রভাবে বিপর্যয়কর বন্যা দেখা দিয়েছে।” “সবচেয়ে ভঙ্গুর এলাকার অন্যতম, ভূমধ্যসাগরে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।” গ্রীক প্রধানমন্ত্রী বলছেন ইউরোপ ও বিশ্বকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমিয়ে রাখার জন্য যেসব ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে, সে বিষয়ে “আরও সততা” প্রদর্শন করতে হবে। অন্যান্য বক্তার মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। ওই দেশে এ বছর মৌসুমি বৃষ্টি থেকে ভয়াবহ বন্যার উৎপত্তি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশটিতে বন্যার মাত্রা বেড়েছে। দুই বছর আগে সারা দেশ জুড়ে বিস্তৃত বন্যায় ১ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হন। পাকিস্তানে প্রাণান্তকর তাপদাহও দেখা দেয়। এবারের বসন্তে হাজার হাজার মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দেশটিতে ঊর্ধ্বে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা দেখা দেয়।  বুধবার দিনের শুরুতে আফ্রিকার দেশগুলোর মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা এই মহাদেশে সবুজ বিপ্লবের উদ্যোগ নেওয়ার এবং একইসঙ্গে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা ও খরার বিরুদ্ধে সহনশীলতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান। এ বছরের আলোচনার মূল বিষয়টি হল জলবায়ু অর্থায়ন—অপেক্ষাকৃত ধনী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক ভূমিকা রাখার দায় থেকে দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেবে। এই উদ্যোগ দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনীতিকে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি থেকে সরে আসতে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করবে।
সম্পূর্ণ পড়ুন