জাকাতের টাকায় সফল উদ্যোক্তা খোকন মিয়া

৩ দিন আগে
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর গ্রামের খোকন মিয়া। একসময় কাজ করতেন অন্যের হোটেলে। মাসিক আয় ছিল মাত্র ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। সাত সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণে হিমশিম খেতে হতো। ধার-দেনা করে কোনোরকম চলতো পরিবার। তবে সামান্য আর্থিক সহায়তা তার সবকিছু বদলে দিয়েছে। জাকাতের টাকায় তিনি হয়ে উঠেছেন সফল উদ্যোক্তা।

অভাব-অনটনের মধ্যেও কখনো ভেঙে পড়েননি খোকন মিয়া। যোগ্যতা ও দক্ষতা যতোটুকু ছিল তা দিয়েই তিনি স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি হোটেল দাঁড় করানোর। এ স্বপ্নের ওপর ভর করেই তিনি আবেদন করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্পে। যাচাই-বাছাইয়ের পর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন তার স্বপ্নের সারথি হয়। জাকাত ফান্ড থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেন খোকন মিয়াকে।

 

এ টাকায় তিনি দোকান ভাড়া, সাজসজ্জা, কিচেন সরঞ্জাম ও প্রাথমিক মালামালের কিনে শুরু করেন। হোটেলটি মোজাফফরপুর বাজার, কেন্দুয়া উপজেলা, নেত্রকোণা জেলায়। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে তার হোটেল হয়ে ওঠে নেত্রকোনার আস্থার এক হোটেল। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। প্রতিদিন গড়ে বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার খাবার, যার মধ্যে আয় থাকে প্রায় ৫ হাজার টাকা। শুধু নিজের নয়, আরও তিনজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি, যারা তার হোটেলের কর্মচারী।

 

আরও পড়ুন: যেদিন রোজা রাখলে ২ বছরের গুনাহ মাফ হয়

 

খোকন মিয়া জানান, আমি নিজেই জাকাতদাতা হতে চাই। অন্যদের সহায়তা করতে চাই।

 

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চ্যারিটি এন্ড সোশ্যাল সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের প্রজেক্ট এক্সিকিউটিভ রফিউল করিম রাফি জানান, খোকন মিয়ার দারিদ্র্য এবং দক্ষতার যাচাই বাছাইয়ের পর যখন তার মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা নিচ্ছিলাম বিভিন্ন কথার মাধ্যমে যে সে এলেও উদ্যোক্তা হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে কিনা, তখন আমি তার চোখে মুখে দেখেছিলাম অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রম করার মানসিকতা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন