বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরিফুল্লাহ আদিব বলেন, ‘সালাম-বরকত হলে ১০১টি অতিরিক্ত ব্যালটের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি প্রশাসন। সিদ্ধান্ত হয়েছিল কোনো অতিরিক্ত ব্যালট পেপার যাবে না কোনো হলে। হলে অতিরিক্ত ব্যালট পাঠানো আমাদের চিন্তায় ফেলছে।’
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনে ঝুঁকির আশঙ্কা নেই: পুলিশ সুপার
বিভিন্ন জায়গায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতরাতে ব্যালট পেপারের পেছনে পেছনে যাচ্ছিল ছাত্রদল নেতা। সাংবাদিক ভিডিও করতে গেলে ডিলিট করতে বাধ্য করা হয়। এতে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে শঙ্কিত করছে। ক্যাম্পাসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আনাগোনা লক্ষ্য করছি। ইসিকে জানালেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডোপ টেস্টের রেজাল্ট দেয়নি প্রশাসন, দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। যে অসঙ্গতিগুলো হচ্ছে, আশা করি দ্রুত দূর করবে প্রশাসন। সুষ্ঠু ভোট হলে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয়লাভ করবে আমাদের প্যানেল। ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হলে জয় বা পরাজয় যাই হোক, আমরা মেনে নেব।’
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।
ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন (টিক চিহ্ন দিবেন)। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে।
জাকসুর মোট প্রার্থীর ২৫ শতাংশ ছাত্রী, বাকি ৭৫ শতাংশই ছাত্র। ভিপি পদে কোনো নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হননি। জিএস পদে ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মেয়ে দুইজন। আর চারটি পদে কোনো মেয়ে প্রার্থীই নেই। সবগুলো হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থীর ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ছাত্রী। আর মেয়েদের হলগুলোর পাঁচটিতে ১৫ পদে প্রার্থীই নেই।
নির্বাচনে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশ নেবে। ছাত্রদল থেকে ভিপি ও জিএস পদে লড়ছেন যথাক্রমে শেখ সাদী হাসান ও তানজিলা হোসেন বৈশাখী। বাগাছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ লড়বে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন: ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন আজ, ভোট উৎসবের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে আব্দুর রশিদ জিতু ভিপি এবং মো. শাকিল আলীর জিএস পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে লড়বে। তাদের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস মাজহারুল ইসলাম।
‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলে জিএস পদে শরণ এহসান, এজিএস (পুরুষ) পদে নুর এ তামীম স্রোত এবং এজিএস (নারী) পদে ফারিয়া জামান নিকি লড়বেন। এ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আদালত।
ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্যদে’ জিএস পদে জাহিদুল ইসলাম ঈমন, এজিএস-নারী পদে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস লড়াই করছেন।
]]>