শনিবার (১৪ জুন) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিউল ইসলাম মারা যান।
চৌগাছার পাতিবিলা ইউনিয়নের পুড়াহুদা গ্রামে শনিবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত রবিউল ইসলাম ও ঘাতক ইব্রাহিম ওই গ্রামের বাসিন্দা রফিউদ্দীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সময়ে সংবাদের পর সুনামগঞ্জের সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
রবিউলের ছেলে খালিদ হাসান জানান, পারিবারিক জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ও চাচা ইব্রাহিমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে ইব্রাহিম তাদের ঘরের টিন বিক্রি করে দেন। এতে বাধা দিলে, ইব্রাহিম পশু জবাইয়ের ধারালো ছুরি দিয়ে রবিউল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
গুরুতর অবস্থায় প্রথমে আহত রবিউল ইসলামকে চৌগাছা হাসপাতাল ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ বাড়িতে নেয়া হবে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিউল ইসলামের মরদেহ এখনো বাড়িতে আসেনি। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। ঘাতক ইব্রাহিম একাধিক বিয়ে ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত হন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>