জনবল সংকটে বন্ধ বেনাপোল স্থলবন্দরের পরীক্ষাগার, কৃষিপণ্যে বাড়ছে ভাইরাসের ঝুঁকি

৩ সপ্তাহ আগে
জনবল সংকটে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবে কৃষি পণ্য-বীজের মান পরীক্ষার কার্যক্রম। এতে ভাইরাস ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের কৃষি খাত। এমন দাবি করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবল নিয়োগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।

ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি হয়, তার মধ্যে বড় একটি অংশ বীজ, কৃষিজাত পণ্য ও খাদ্যদ্রব্য। এসব পণ্যের গুণগত মান ঠিক আছে কিনা বা ভাইরাস মুক্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য বন্দরে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব।

 

তবে গত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে ল্যাবে কোন টেকনেশিয়ান না থাকায় পণ্যের মান পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, টেকনেশিয়ান না থাকার কারণে ল্যাবের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একজন বিশেষজ্ঞ থাকলেও, তাকে কিছুদিন আগে বদলি করে দেয়া হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: কার্গো টার্মিনালে আন্তর্জাতিক বন্দরে রূপ পেল বেনাপোল

 

এতে ভাইরাসযুক্ত বীজ আমদানি হচ্ছে কি-না তা দেখার সুযোগ না থাকায় দেশের কৃষিখাত ঝুঁকিতে পড়েছে বলে অভিযোগ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের। আমদানিকারকরা বলেন, ভারত থেকে যে সব কৃষি বীজ আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলোতে ভাইরাস আছে কিনা তা ল্যাবে পরীক্ষা করা জরুরি। তবে ল্যাব বন্ধ থাকায় পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ বলেন, ল্যাব বন্ধ থাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। নিরাপদ বাণিজ্যের জন্য দ্রুত ল্যাব চালু করতে হবে।

 

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভাইরাসমুক্ত বীজ বা খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে ল্যাব চালু থাকা জরুরি। পাশাপাশি বাড়াতে হবে জনবল।

 

উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যার মধ্যে শতাধিক ট্রাক থাকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য ও কৃষি বীজ।।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন