জনবল সংকটে নিজেই ‘অসুস্থ’ পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

২ সপ্তাহ আগে
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালে মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। এতে রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে সমস্যার মুখে পড়ছেন এবং অনেক সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তবে সির্ভিল সার্জন জানিয়েছেন, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে।

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০৮ সালে হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সেবার মান বাড়েনি। বরিশাল বিভাগের দরিদ্র চরাঞ্চল বেষ্টিত এই উপজেলার বিপুল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার ভরসাস্থল এখন নিজেই সংকটে। ২০০৮ সালের ৩১ শয্যা ব্যবস্থার জন্য থাকা জনবল দিয়ে এখনও সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ৫১ শয্যার প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও অন্যান্য পদে জনবল না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

 

চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ান না থাকায় অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেও রোগীদের যেতে হচ্ছে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ফলে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ।

 

আরও পড়ুন: নভেম্বর মাস থেকে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে : ইউজিসি

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ৩ জন কর্মরত রয়েছেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার, গাইনি, মেডিসিন, সার্জারি ও অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্টসহ ৫টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির স্বাস্থ্য সহকারী সহ ৬০টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২২ জন। এছাড়া আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নষ্ট, এক্স-রে মেশিন, বিকল, অপারেশন থিয়েটারসহ অধিকাংশ সরঞ্জামের কার্যকারিতা নেই।

 

দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মইনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে চিকিৎসকসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা খুবই কম। এর পাশাপাশি টেকনিশিয়ানের ঘাটতির সমস্যাও রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

 

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মো. খালেদুর রহমান মিয়া জানিয়েছেন, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রায়ই চিকিৎসক সংকট দেখা দেয়। তবে এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন