হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। শূন্য ও অননুমোদিত পদ পূরণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’
সম্প্রতি হাসপাতালটি পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জানিয়েছেন, জনবলসহ অন্যান্য সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শহরের শিয়ালকোল ইউনিয়নে যমুনা নদী বিধৌত এলাকায় প্রায় ৩১ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এই আধুনিক হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। ব্যয় হয় প্রায় ৮৮৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালে চালু হয় চিকিৎসা কার্যক্রম।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ফিজিশিয়ান ডাক্তারের পদ রয়েছে ৭৫টি, যার মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৫৮ জন। একইভাবে রয়েছে নার্স, মেডিকেল টেকনিশিয়ান, অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকট।
আরও পড়ুন: রোগীর পেটে কলম-আলপিন-প্লাস্টিক-বাঁশের শলা!
১০টি আইসিইউ বেড থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকায় সেগুলো চালু করা যাচ্ছে না। হৃদরোগীদের এনজিওগ্রাম ও হার্টল্যাব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হচ্ছে না জনবল সংকটে।
সলঙ্গা থেকে আসা রোগীর স্বজন আনোয়ারা বলেন, ‘সকাল থেকে অপেক্ষা করেও ডাক্তার দেখাতে পারিনি। বলা হয়েছে, আজ ডাক্তার আসেননি। আবার কাল আসতে হবে।’
একজন ভর্তি রোগী বলেন, ‘রোগীর তুলনায় ডাক্তার অনেক কম। ফলে আন্তঃবিভাগ ও বহিঃবিভাগে সেবা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে অনেককে অন্য জেলায় যেতে হচ্ছে।’
জনসাধারণ ও রোগীরা দ্রুত জনবল সংকট নিরসন করে হাসপাতালটিতে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালুর দাবি জানিয়েছেন।