মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ইতিহাসের নৃশংসতম ফ্যাসিস্ট শক্তির পতনের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তির অহেতুক বিতর্কে জড়ানো শহীদদের আত্মত্যাগকে অসম্মান করার শামিল।
তিনি বলেন, প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি হবে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি। দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থান তৈরি এবং নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাই হবে দলের অঙ্গীকার।
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেড় দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটবে জনগণের। মানুষ নিজেদের ভোট নিজেরাই দিয়ে পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবে, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারসৃষ্ট দুটি দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: হাফিজ
তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য গণতন্ত্রকামী জনগণের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে অনৈক্য তৈরি হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ফিরে আসা সহজ হবে। তাই সব পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে জনগণ শক্তিশালী হবে এবং জনগণ শক্তিশালী হলে তবেই দেশ শক্তিশালী হবে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সতর্ক করে দেন, এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে জনগণের মধ্যে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়।
‘জনশক্তিই বিএনপির শক্তি। তাই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে—এমন আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।