শুক্রবার (২৩ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে সদর উপজেলার রায়নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আল মামুন আরজু রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও কাজীবাধা গ্রামের মৃত আ. আজিজের ছেলে।
জানা গেছে, গত বছরের ৩০ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ছাত্র রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, তার ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী রকিবুল হাসান শান্তনু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শাহিন শেখ, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ ১৭০ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীর ২৫ মণ ওজনের ‘রাজাবাবু’র দাম কত?
এজাহারে রাজিব মোল্লা উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষকরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেন। তখন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে হামলা চালান। সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীর নির্দেশে হামলাকারীরা গুলি চালিয়ে এবং বোমা নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
হামলায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুন্নবী, আশিক ইসলাম অভি, রাজিব মোল্লা, মেহেরাব, আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস সরকার, রিয়াজসহ বহু আন্দোলনকারী আহত হন।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারনামীয় আসামি আল মামুন আরজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
]]>