মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের বাশিয়াপাড়া মহল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আনোয়ার হোসেন বাশিয়পাড়া মহল্লার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
বানিয়াচং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ছাত্র আন্দোলনে ‘নাইন মার্ডার’ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পলাতক ছিলেন। সন্ধ্যায় তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে হবিগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হতে পারে।
গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী ৪-৫ হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
আরও পড়ুন: প্রেমে রাজি না হওয়ায় স্কুলে ঢুকে ছাত্রীকে কোপাল বখাটে
আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ সাতজন নিহত হন। তখন চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সংবাদকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা হয় আট। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত ৯ জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে এবং আহত একজনের বাবার পক্ষ থেকে মোট তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় আসামি প্রায় ১০ হাজার।
]]>