২০১৭'তে শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ক্রিকেট সমর্থকদের। ৮ বছর বাদে আবারো মাঠে গড়াবে এই মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি ইভেন্টটি। ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে অনেক টালবাহানা হলেও শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যেখানে স্বাগতিকের তকমা গায়ে থাকলেও আরব আমিরাতের সঙ্গে তা ভাগাভাগি করতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য ভিন্ন এক আমেজ নিয়ে অপেক্ষায় পাকিস্তানের ২১ কোটিরও বেশি মানুষ। ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার তাদের দেশের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কোন আইসিসি ইভেন্ট। যদিও লাহোর-করাচি-রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়াম এবং তার নিরাপত্তা নিয়ে ক'দিন আগ পর্যন্তও নেতিবাচক আলোচনা ছিল ক্রিকেট দুনিয়ায়। কিন্তু এবার সে সমালোচনা দূরে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছে দেশটির প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ৩৩ বছরে অভিষেক, ইতিহাসের পাতায় বরুণ
ইভেন্টের নিরাপত্তায় দেশের সর্বোচ্চ সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি চেয়ে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিল পিসিবি। সেখান থেকে মিলেছে গ্রিন সিগনাল। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে এ প্রস্তাবের। দেশটির সংবিধানের ২৪৫ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে যৌথ বাহিনী নামানোর অনুমতি দিয়েছেন তারা। যেখানে নেতৃত্বে থাকবে দেশটির সেনাবাহিনী। আর তাদের অধীনে মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে রেঞ্জার্সদের হাতে। সঙ্গে আলাদা আলাদা রাজ্যে নিজস্ব পুলিশ এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন নিজ নিজ দায়িত্বে। যা পিসিবির সঙ্গে বসে ঠিক করবে রাজ্য সরকার।
এরই মধ্যে লাহোরের গাদ্দাফিতে নিরাপত্তা ড্রিল সম্পন্ন করেছে দেশটির আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। কোন ধরণের সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনা ঘটলে কত দ্রুত সব কিছু নিয়ন্ত্রণে নেয়া সম্ভব তা ড্রিলের মাধ্যমে পিসিবিকে দেখিয়েছেন তারা। ক্রিকেটার এবং টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের নিরাপত্তায় কোন কমতি রাখতে চায়না পিসিবি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে বাড়তি চাপে থাকবে ভারত: হাবিবুল বাশার
তবে, এ ধরণের বন্দবোস্ত এবারই নতুন, তা কিন্তু নয়। পিএসএল কিংবা যে কোন আন্তর্জাতিক সিরিজ চলাকালীনও কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে স্টেডিয়াম, টিম হোটেল এবং চারপাশের এলাকা। বিশেষ বিবেচনায় জেড সিকিউরিটিও দেয়া হয় অনেক দলকে। শেষবার বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর চলাকালীন এ ধরণের নিরাপত্তার মধ্যেই ছিল টাইগাররা।
এবারের আসরে মোট তিনটি শহরে ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে পিসিবি। লাহোর-করাচী ছাড়াও খেলা হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের দুটো ম্যাচই হবে পিন্ডি স্টেডিয়ামে। তবে, পাকিস্তানের জন্য বড় দুশ্চিন্তা ছিল গাদ্দাফী এবং করাচী স্টেডিয়াম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে পিসিবিকে। তবে, কিছুদিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সব আয়োজন চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পিসিবি প্রেসিডেন্ট মহসিন নাকভি।