চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিঃ নিউ জিল্যান্ড সেমি ফাইনালে, বাদ পড়লো স্বাগতিক পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

১ দিন আগে
রাচিন রাভিন্দ্রার চমৎকার ১১২ রানের সুবাদে নিউ জিল্যান্ড বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনাল পর্বে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। এর ফলে টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দেশ পাকিস্তান সেমি ফাইনালে যাওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়লো। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ফলাফল ৫০-ওভার টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনাল পর্বে ভারতের উত্তির্ন হওয়াটাও নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ-এ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশও ছিটকে পড়লো।   নিউ জিল্যান্ড এবং ভারত দু’দলই তাদের দুটি  ম্যাচেই  জয়লাভ করেছে, এবং রবিবার দুবাই-এ দু’দেশের লড়াই হবে গ্রুপের শীর্ষে কে থাকবে তা নির্ধারণ করার জন্য। পাকিস্তান, যারা ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পূর্ববর্তী টুর্নামেন্টে শিরোপা জয় করে, প্রথমে নিউ জিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয় এবং তারপর ভারতের হাতে। পাকিস্তান ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কোন টুর্নামেন্ট আয়োজন করার দায়িত্ব পায়। ভারত রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান সফর করতে অস্বীকার করে। তারা তাদের সকল ম্যাচ দুবাই-এ খেলছে। ভারত ফাইনালে পৌঁছালে চূড়ান্ত ম্যাচটিও দুবাই-এ হবে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় পাকিস্তানকে ৬০ রানে হারানোর পর সবাই নিউ জিল্যান্ড-এর দিকেই তাকিয়ে আছে।   সোমবার তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে ফেভারিট নিউ জিল্যান্ড টসে জিতে প্রথমে ফিল্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল-এর ক্যারিয়ার সেরা ২৬ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেটের সাহায্যে তারা বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে ২৩৬ রানে আটকে দেয়।    জয়ের জন্য ২৩৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে নিউ জিল্যান্ড শুরুতে ছোট-খাটো বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। প্রথমে ১২ রানে ২ উইকেট এবং ৭২ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। এর পর রাভিন্দ্রা এবং আরেক বাঁহাতি ব্যাটার টম লেথাম, যিনি ৫৫ রান হাঁকান, চতুর্থ উইকেটে ১২৯ রান যোগ দেন। খেলা শেষ হওয়ার আগেই দু’জনই আউট হয়ে যান, কিন্তু এরপরও নিউ জিল্যান্ড ২৩ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দ্য ব্ল্যাক ক্যাপস নামে পরিচিত নিউ জিল্যান্ড টিম শুরুতেই বিপদে পড়ে, যখন পেস বোলার তাসকিন আহমেদ প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা উইল ইয়ংকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। বাংলাদেশের নতুন পেস তারকা নাহিদ রানা কেন উইলিয়ামসন-এর উইকেট তুলে নেন ১৪৮.৮ কিলোমিটার বেগে বোল করা এক বলে। উইলিয়ামসন পাঁচ রান করার পর উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন।    রাভিন্দ্রা ক্রিজে ডেভন কনওয়ের সাথে যোগ দিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন। রাভিন্দ্রা সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ট্রাই-সিরিজে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর টিমে ফিরেছেন। কনওয়ে পর পর কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩০ রান সংগ্রহ করার পর বাংলাদেশ তার রাস টেনে ধরে। মুস্তাফিজুর রহমানের বল বাঁহাতি কনওয়ে মারতে গিয়ে নিজের স্টাম্পের উপর নিয়ে আসেন।    রাভিন্দ্রা দৃঢ় ভাবে ক্রিজ দখল করে রাখেন এবং আরেকটি বাঁহাতি ব্যাটার লেথামকে নিয়ে লক্ষ্যমাত্রার দিকে অগ্রসর হন। ব্যক্তিগত ৫০ রান সংগ্রহ করার পর রাভিন্দ্রা বাংলাদেশী বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করা শুরু করেন। তিনি একটি সিঙ্গেল রান নিয়ে সীমিত ওভার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর চতুর্থ সেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন এবং ব্যাট তুলে দর্শকদের অভিনন্দন গ্রহণ করেন।   রাভিন্দ্রার উইকেটের পতন হয় যখন তিনি লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে লং-ওনে ক্যাচ তুলে দেন। কিছুক্ষণ পরেই লেথাম রান-আউট হলে খেলায় কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২১ রানে অপরাজিত গ্লেন ফিলিপ্স এবং ব্রেসওয়েল দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।   প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ ব্রেসওয়েল বিজয়ের পথ সুগম করেন গুরুত্বপূর্ণ ইউকেট দখল করে, যার শুরু তার দ্বিতীয় বলে বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটার তানজিদ হাসানকে তার ব্যক্তিগত ২৪ রানের মাথায় আউট করে। এর ফলে বাংলাদেশী ইনিংসের ভাল সূচনার সম্পাতি ঘটে।   অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের সর্বোচ্চ ৭৭ এবং জাকের আলি ৪৫ রান তুলে একটি প্রতিযোগিতামূলক স্কোর গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্রেসওয়েল একের পর এক উইকেট নিতে থাকেন। ব্রেসয়েল দলের পেসারদের কাছ থেকে ভাল সমর্থন পান, যাদের মধ্যে উইল ও’রুর্ক দুটি উইকেট দখল করেন।  
সম্পূর্ণ পড়ুন