চৌগাছাবাসীর দুর্ভোগ চার কিলোমিটার সড়কে

৩ সপ্তাহ আগে
চার কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। সংস্কারের অভাবে চরম ভোগান্তিতে যশোরের চৌগাছা উপজেলার পুড়োপাড়া ও আশপাশের এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। বৃষ্টিতে পানি জমে সড়ক পরিণত হয় ‘মৃত্যু ফাঁদে’। বরাদ্দ পেলে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

যশোরের চৌগাছা উপজেলার বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পুড়োপাড়া। উপজেলার টেঙ্গুরপুর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরত্বের পুড়োপাড়ায়ায় যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি। যার মধ্যে চার কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে এই রাস্তা। চলতি মৌসুমের সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের গর্তগুলো ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে।

 

এতে করে রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তি পোহান স্কুল শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, যানবাহন চালকসহ সাধারণ পথচারীরাও। এ কারণে সড়কটি দ্রুত পাকা করার দাবি এলাকাবাসীর।

 

আরও পড়ুন: ত্রিশ গ্রামের ‘দুঃখ’ নোয়াখালী-ভীমখালী সড়ক

 

টেঙ্গুরপুর গ্রামের শাহজাহান কবির নামে এক ব্যক্তি বলেন, পুড়োপাড়া একটি কৃষি নির্ভর বাণিজ্যিক এলাকা। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহনে মালামাল পরিবহন করা হয় এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশার কারণে পণ্য পরিবহন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। প্রায়ই যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্ষা শুরু হলে এ সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সে সময় শিক্ষার্থীর স্কুল কলেজও যেতে পারে না। তখন অনেক পথ ঘুরে বিকল্প পথে যেতে হয়। এ ভোগান্তির সমাধানে দ্রুত সড়কটি সংস্কার জরুরি।

 

ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। ছবি: সময় সংবাদ

 

সালাহউদ্দিন নামে অপর এক ব্যক্তি বলেন, ‘পুড়োপাড়া থেকে যশোর যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি। প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি অবহেলিত। এ সড়কের চার কিলোমিটার বিভিন্ন জায়গা খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। অথচ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে।’

 

জিল্লুর রহমান নামে এক বাস চালক জানান, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা। বহু কষ্টে গাড়ি চালাতে হয়। প্রায় গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। বলতে গেলে খুব অশান্তির মধ্যে আছি।

 

আরও পড়ুন: সড়কের বেহাল দশায় মাসে ২ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি

 

প্রদীপ দাস নামে অপর এক চালক জানান, পুড়োপাড়ায় অসংখ্য ধানের চাতাল ও চাল কল রয়েছে। প্রতিদিন এ সড়কে অসংখ্য ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশার কারণে মালবোঝাই করে যাওয়া বেশ দুষ্কর। প্রায় গাড়ির পাতি, এক্সেল ভেঙে যায়। এ অবস্থায় সড়কটি সংস্কার জরুরি। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

 

এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ বলেন, বাজেট না থাকায় পুড়োপাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়নি‌। সড়কের বেহাল দশার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আগামী অর্থবছরে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

এলজিইডির তথ্যমতে, পুড়োপাড়া ও তৎসংলগ্ন এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এ সড়কটি ব্যবহার করে। এছাড়া একটি অটো রাইস মিলসহ ৬৫টি ধানের চাতাল থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য বাস ট্রাক চলাচল করে সড়কটিতে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন