চোখ রাঙাচ্ছে করোনা: খুলনায় প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ

৩ সপ্তাহ আগে
করোনাভাইরাস আবারও হঠাৎ চোখ রাঙাতে শুরু করায় খুলনায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইতোমধ্যে করোনা রোগীদের জন্য ৪০টি সাধারণ শয্যা এবং ১০টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তবে জটিলতা তৈরি হয়েছে পরীক্ষার কিট সংকটে। হাসপাতালটির আরটিপিসিআর মেশিন বিকল, আর নেই কোনো র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের কিট।
 

করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. খান আহমেদ ইসতিয়াক জানান, হাসপাতালে বর্তমানে ৭৫টি কিট রয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ হাজার কিটের চাহিদা জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
 

তিনি বলেন, ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে ১০ হাজার ৯৩ জন করোনা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৮৮ জন। তবে ২০২৪ সালে কোনো করোনা পরীক্ষা করা হয়নি।
 

অন্যদিকে, খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য এখনো কোনো শয্যা প্রস্তুত নেই। 

আরও পড়ুন: নানা সংকটে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। বর্তমানে ৪০০ কিট মজুত আছে, তবে আরও ৩ হাজার কিটের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে একজন রোগীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
 

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, বিভাগের সব সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা গেছে, অধিকাংশের কাছেই এখন কিট নেই। কিছু স্থানে আবার মজুত থাকা কিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সকলের চাহিদা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি ২-৩ দিনের মধ্যেই নতুন কিট চলে আসবে।
 

তিনি আরও জানান, হাসপাতালগুলোকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ১১টি সতর্কতা নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
 

তবে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত খুলনা বিভাগে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্তের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন