চীনা নৌবাহিনীতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন

১ সপ্তাহে আগে
চীনের অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’-এ প্রথমবারের মতো সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন ও অবতরণ করেছে জে-১৫টি, জে-৩৫ এর মতো যুদ্ধবিমান। বিশ্লেষকরা বলছেন, এরমধ্য দিয়ে আরও একবার নিজেদের সামরিক শক্তির জানান দিলো বেইজিং।

সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সামরিক সক্ষমতার দ্রুত বিকাশ চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে, বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’-এর সফল পরীক্ষাগুলো যেন সেই অগ্রযাত্রারই এক নতুন অধ্যায়। 

 

অভ্যন্তরীণভাবে তৈরি এই রণতরীতে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপুল্ট ব্যবহার করে একাধিক বিমানের উড্ডয়ন ও অবতরণ করানো হয়েছে। এই সফলতার মধ্য দিয়ে চীন শুধু নিজেদের প্রযুক্তির শক্তিই প্রমাণ করেনি, বরং সামরিক ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করল।

 

পরীক্ষাগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ফুজিয়ানের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপুল্ট ও ল্যান্ডিং সিস্টেমের সাথে বিভিন্ন ধরনের বিমানের সামঞ্জস্যতা যাচাই করা। জে-১৫টি, জে-থার্টি ফাইভ এবং কংজিং-৬০০ - এই তিনটি ভিন্ন ধরনের বিমানকে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: বাগরাম বিমান ঘাঁটি ইস্যুতে ট্রাম্পকে কড়া বার্তা চীনের

 

এটি প্রমাণ করে যে, ফুজিয়ান এখন পূর্ণাঙ্গ কার্যকর সক্ষমতা অর্জনের পথে। এটি চীনের নৌবাহিনীর জন্য একটি বিশাল অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা তাদের কৌশলগত সক্ষমতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে।

 

এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে চীনের বহু বছরের নিরলস গবেষণা ও উন্নয়ন। নিজেদের সামরিক সক্ষমতাকে শুধু এক জায়গায় সীমাবদ্ধ না রেখে, চীন এখন বহুমুখী প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। গত বছর মে মাস থেকে ফুজিয়ান সাগরে একাধিক পরীক্ষা চালিয়েছে, যা তার সামগ্রিক কার্যকারিতা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে। এসব পরীক্ষা প্রমাণ করে, চীনের নৌবাহিনী কেবল আকারেই নয়, প্রযুক্তির দিক থেকেও বিশ্বমানের হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। 

 

এ ধরনের অগ্রগতি চীনের সামরিক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে, যা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন