রোববার (২৫ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান জানিয়েছেন, চার জন যুবককে দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। তারা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।
সূত্র জানায়, দুপুরে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালকের রুমে একটি বৈঠক চলছিল। জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে চলমান বৈঠকের সময় ওই চার জন দাবি নিয়ে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে যান। সিইও তাদের অপেক্ষা করতে বললে ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানেই বিষপান করেন তারা।
আহতদের অভিযোগ দীর্ঘ ৯ মাসেও তাদের উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এদিকে জুলাই যোদ্ধা ব্যানারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বিষপান করা চার জনের কিছু হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদ ও আহতদের দায়িত্ব নেবে: রিজভী
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, তারা হতাশায় আত্মহননের চেষ্টা করেছিল। তারা এখনো আশঙ্কা মুক্ত নয়। তাদের মতো আমরা হাজার হাজার আহতরা পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার অভাবে হতাশাগ্রস্ত। দ্রুত আহতদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।
আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে সরকারে বসে আমাদেরকেই তারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। বারবার বলার পরও আমাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। কর্মহীনদের কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন জুলাই যোদ্ধার।