রোববার (১৩ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
শত শত রোগী এবং আহত ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য আল-আহলি আরব হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু রোববার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে আল-আহলি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
হামলায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনাকেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে জানান চিকিৎসাকর্মীরা।
আরও পড়ুন:গাজার হাসপাতালে জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তারা জানান, রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার মতো তাদের অবস্থা নেই। তাই চিকিৎসা কর্মীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের সেবা দিতে হচ্ছে।
হাসপাতালটি রোগীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। ইসরাইলের বোমা হামলা এবং ভয়াবহতার আঘাত থেকে এতদিন দূরে ছিল বলে জানান তারা। কিন্তু রোববার এখানেও হামলা চালালো ইসরাইল।
এদিকে, যারা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ইসরাইলি হামলায় তাদের ঘরবাড়ি, আবাসিক ভবনও ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন তাদের কেবল থাকার জায়গা নেই তাই নয়, বরং চিকিৎসা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবাও নেই।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অত্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে বা প্রবেশের অনুমতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে যাওয়ার পরিবর্তে, তারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এবং গাজা উপত্যকা জুড়ে ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে। যুদ্ধবিরতি ভেঙে মার্চ মাস থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরাইল।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায় ইসরাইল। এরই ধারাবাহিকতায় আল-আহলি আরব হাসপাতালে রাতভর হামলা চালায় ইসরাইল।
আরও পড়ুন:গাজায় ৩৬টি ইসরাইলি হামলায় শুধু নারী ও শিশু নিহত: জাতিসংঘ
এই হাসপাতালটি ছিল উত্তর গাজার শেষ কার্যকরী হাসপাতাল।
]]>