শনিবার (০৩ মে) দুপুরে হাসপাতালের পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট আহসান হাবিব। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে তত্ত্বাবধায়কের টেবিলে থাকা ল্যাপটপ ভাঙচুর করেন আহসান হাবিব। এছাড়া আহসান হাবিব ওই ল্যাপটপ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ককে আঘাতের চেষ্টা করেন। এসময় হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে সরিয়ে নেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ পারভেজ বলেন, হাসপাতালে দুজন রেডিওলোজিস্ট রয়েছেন। প্রতিদিনই হাসপাতালে আসা রোগী ভাগাভাগি করে দেয়া হয় তাদের দুজনকে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আহসান হাবিব উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ল্যাপটপ ভাঙচুরসহ তাকে আঘাত করতে আসেন। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মারামারি করে চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতাল ভাঙচুর ও ডাক্তারদের মারধর!
অভিযুক্ত আহসান হাবিবের দাবি, হাসপাতালে তিন বছরের বেশি কর্মকালে তিনি নানানভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এসব বিষয়ে কথা বলার সময় তত্ত্বাবধায়ক গুরুত্ব না দেয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তিনি।
আহসান হাবিব বলেন, পদন্নোতির পরও তাকে আলাদা চেম্বার দেয়া হয়নি। এমনকি তার নেইমপ্লেট পর্যন্ত নেই। এসব বিষয় নিয়েই কথা বলতে যান তিনি।