বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
আসিফ বলেন, ‘যেসব কারখানার অর্ডার নেই, চালানোর মতো সক্ষমতা নেই, মূল্যায়নের ভিত্তিতে সেসব কারখানা সরকার বন্ধ করে দেবে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের যথাযথ বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে।
সরকার পরিবর্তনের পর আগস্টের শেষ দিকে সাভার ও আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক শিল্পে শুরু হয় শ্রমিক অসন্তোষ। এরপর দফায় দফায় বৈঠকে বসে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিসহ নানা পক্ষ। বেতন-ভাতা পরিশোধে ব্যাংক থেকেও দেয়া হয়েছে বিশেষ ঋণ সুবিধা।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেনে নেয়া হয়েছে শ্রমিকদের ১৮ দফা। তারপরও মেলেনি সুফল। নভেম্বরে এসেও তাই শ্রমিক আন্দোলনে উত্তাল গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পোশাক কারখানা।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক খাতে নারী কর্মীদের সংখ্যা কমছে
মাসের পর মাস চেষ্টার পরও কেন থামানো যাচ্ছে না দেশের প্রধান রফতানি খাতের এ অস্থিরতা? শ্রমিক নেতারা বলছেন, কয়েকটি কারখানা বেতন-ভাতা দিতে না পারায় অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে পুরো শিল্পে। শ্রমিকদের বঞ্চিত করে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে গুটিকয়েক মালিকের বিরুদ্ধে।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম আমিন জানিয়েছিলেন, কম মজুরি হওয়ায় শ্রমিকরা অতি কষ্টে জীবনযাপন করছেন। তবে অনেক গার্মেন্টস মালিক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দিয়ে পুঁজির বড় অংশ বিদেশে পাচার করে দিচ্ছেন। এর প্রভাব পড়ছে পুরো শ্রমখাতে।
তবে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের সঙ্গে শুধু শ্রমিকরা জড়িত নয় বলে মনে করে বিকেএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম চলমান শ্রমিক অসন্তোষের সঙ্গে বহিরাগতরা জড়িত বলে মনে করেন। তার মতে, এর পেছনে অনেক ইন্ধনদাতা রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
সম্প্রতি সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছিলেন, যেসব কারখানা রুগ্ন হওয়ায় বেতন-ভাতা ঠিকমতো দিতে পারছে না, সেগুলো বন্ধ করার পক্ষে সরকার। তবে বন্ধের কবলে পড়া কারখানা শ্রমিকদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
]]>