শুক্রবার (৬ আগস্ট) খুলনার নিউ মার্কেট কাঁচা বাজার, বড় বাজার ও গল্লামারি ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭৪ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। নাজিরশাইল কেজি প্রতি ৮৫ থেকে ৮৮ টাকা ও আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকায়। সাধারণ মানের মোটা চালের দাম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা।
চালের এমন অবস্থায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বাজারে। নিউ মার্কেট চালের বাজারে সকালবেলা চাল কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল হোসাইন বলেন, ‘মাসের শুরুতে চাল কিনতে এসে হতাশ হয়েছি। খবরে দেখেছি দাম কমতে শুরু করেছে, কিন্তু বাজারে এসে দেখি আগের মতোই অনেক বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। ২৫ কেজির বস্তাও কম দামে নিতে পারিনি।’
আরও পড়ুন: সবজি কিনতেই পকেট ফাঁকা!
একই বাজারের আরেক ক্রেতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘বাজারে কোন স্বস্তি নেই। আমাদের মাস চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে কিছুটা কম দামি চাল কিনেছিলাম, কিন্তু মান এত খারাপ যে এক বেলার পর দ্বিতীয় বেলায় খাওয়া যায় না। সরকার দাম কমানোর উদ্যোগ নিলেও বাজারে তদারকি হচ্ছে না, ফলে আমাদের কোন লাভ হয় না।’
বিক্রেতারা বলছেন, ভারতের চাল আমদানি শুরু হলেও খুলনায় তা এখনো পৌঁছায়নি। এ কারণে চালের দাম কমছে না। নিউ মার্কেট সাইফুল স্টোরের স্বত্বাধিকারী নুর ইসলাম বলেন, ‘দেশী চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। বাজারে ভারতের চাল আসলে হয়তো কিছুটা কম দামে পাওয়া যেতে পারে।’
এদিকে সবজি বাজারে সামান্য স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। কিছু সবজির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছেও। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৫০ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি ঝিঙে ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম এখন ফুলকপি ও টমেটোর। ফুলকপি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা পর্যন্ত, আর টমেটো ১৮০ টাকা পর্যন্ত।
]]>