চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান পদত্যাগ করলেন; যৌন কেলেঙ্কারি বিষয়ে পুলিশকে জানাতে ব্যর্থতার অভিযোগ

১ সপ্তাহে আগে
চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান, আর্চবিশপ অফ ক্যান্টারবারি এবং বিশ্বব্যাপী অ্যাংলিকান সমাজের আধ্যাত্মিক নেতা জাস্টিন ওয়েলবি পদত্যাগ করেছেন। এর আগে একটি তদন্তে দেখা যায় যে খ্রীষ্টান সামার ক্যাম্পে স্বেচ্ছাসেবকরা যে দৈহিক ও যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে তা জানা মাত্র পুলিশকে তা জানাতে তিনি ব্যর্থ হন। বৃহস্পতিবার থেকেই ওয়েলবির উপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছিল যখন এই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হলে চার্চের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর জবাবদিহিতার অভাবের কারণে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বিশপ অফ নিউ ক্যাসেল হেলেন-অ্যান হার্টলি সোমবার বলেন তাঁর অবস্থান কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তার আগেই চার্চের জাতীয় পরিষদের কিছু সদস্য এক আবেদনে ওয়েলবির পদত্যাগের দাবি জানান কারণ তিনি “ তাঁর ধর্মীয় যাজকদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছন”। ওয়েলবি এক বিবৃতিতে বলেন, “ আমি মনে করি, আমার সরে দাঁড়ানোটা চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সর্বাত্মক স্বার্থের সপক্ষে কারণ আমি এটিকে (চার্চ অফ ইংল্যান্ডকে) ভীষণ ভালোবাসি এবং যেখানে আমি কাজ করে সম্মানিত বোধ করেছি”। সব চেয়ে বড় প্রতিবাদ আসে একজন সুপরিচিত আইনজীবি জন স্মিথের ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে যিনি ব্রিটেন, জিম্বাবওয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গত পাঁচ দশক ধরে অনুষ্ঠিত খ্রীষ্টান সামার ক্যাম্পে কিশোর ও তরুণদের উপর এ ধরণের নিপীড়ন চালান। অ্যান্ড্রু মোর্স, যাকে স্মিথ পাঁচ বছর ধরে বার বার প্রহার করেন, তিনি বলেন পদত্যাগ করাটাই ওয়েলবির জন্য সেই ক্ষতি পুষিয়ে তোলার সুযোগ যা ব্যাপক অর্থে এই ঐতিহাসিক নিপীড়ন বিষয়ে চার্চের সামাল দেয়ার ব্যর্থতার কারণে সৃষ্ট। ওয়েলবির পদত্যাগের আগেই মোর্স বিবিসিকে বলেন, “ আমার মনে হয় এখনই তার পদত্যাগ করার সুযোগ। আমি এটাকে সুযোগ বলছি এ কারণে যে এটাই তাঁকে সুযোগ করে দিবে স্মিথের ভুক্তভোগী এবং সকল ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়াবার যাঁদের প্রতি চার্চ অফ ইংল্যান্ড তাদের নিজেদের নিপীড়নের ব্যাপারে ঠিক মতো ব্যবহার করেনি। ওয়েলবির পদত্যাগ এমন এক প্রেক্ষাপটে ঘটলো যখন চার্চ অফ ইংল্যান্ডে ব্যাপক যৌন নিপীড়নের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটলো। ২০২২ সালে চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে যাজকদের কর্তৃত্বের বশবর্তী হওয়ায় যৌনতা বিষয়ে আলোচনায় অনুচ্চার্য হয়ে ওঠে সেই রকম সংস্কৃতি অভিযুক্ত অপরাধীদের প্রতি সমর্থন যোগায় আর তাই চার্চ অফ ইংল্যান্ড “ এমন এক স্থান হয়ে ওঠে যেখানে এই নিপীড়করা লুকিয়ে থাকতে পারে”।
সম্পূর্ণ পড়ুন