চার বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ, দুর্ভোগে রঘুখালীবাসী

১ সপ্তাহে আগে
দুবার হাত বদলের পর কাজ শেষ না করেই পালিয়ে যান ঠিকাদার। নিয়োগ দেয়া হয় নতুন ঠিকাদার। তবে চার বছরেও শেষ হয়নি কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীর ওপর নির্মাণাধীন রঘুখালী পাকা সেতুর কাজ। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ও করিমগঞ্জ উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নকে যুক্ত করে রঘুখালী এলাকায় নরসুন্দা নদীর ওপর ৪০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২০২১ সালের ১৭ ‘এইচটি বিএল মার্চ’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়।

 

এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়ে চলে যায় ‘এইচটি বিএল মার্চ’। কিন্তু সেতুর দুই পাশের এবাটমেন নির্মাণের পর সেতুর কাজ ফেলে উধাও হয়ে যায় ওই ঠিকাদারও। এর পর থেকেই চরম দুর্ভোগে এলাকার মানুষ।

 

আরও পড়ুন: ভাঙা রাস্তায় ভোগান্তি, সংস্কার প্রকল্পের টাকা ঠিকাদারের পকেটে!

 

৪ বছর ধরে সেতুর কাজ বন্ধ। মোটরসাইকেল ও মানুষের পায়ে হেঁটে পারাপারের জন্য পাশে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হলেও এটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিকল্প সড়ক সেতু না থাকায় যানবাহনকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছে শত শত মোটরসাইকেল। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

 

এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, দরপত্রের চুক্তির শর্ত না মানায় আগের ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। পুনঃদরপত্রের মাধ্যমে গত বছরের পহেলা জানুয়ারি মেসার্স মোমিনুল হক নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হয়। তবুও শেষ হচ্ছে না বিড়ম্বনার। তবে নানা কারণে কাজটি বিলম্ব হচ্ছে উল্লেখ করে দ্রুত সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।’

 

জানা গেছে, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০২১ সালে ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ মিটার দীর্ঘ রঘুখালী সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৫০৫ টাকা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন