শনিবার (৭ জুন) দুপুর থেকে মৌলভীবাজার পৌর বাসটার্মিনাল এলাকায় অস্থায়ী চামড়ার হাটে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমি চামড়া সংগ্রাহক ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চামড়া নিয়ে আসলেও আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না তারা।
হাটে চামড়ার দাম প্রতি পিস ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এতে চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করতে আসা অনেক মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
বৃন্দাবন বরকতিয়া মাদ্রাসার মাওলানা সাইফুর রহমান জানান, ‘৩০ পিস গরুর চামড়া নিয়ে হাটে এসেছিলাম। প্রথমে ২৫০ টাকা দর বলা হলেও অনেক কাকুতি-মিনতির পর ৩০০ টাকায় বিক্রি করি। এতে লোকসান হয়েছে।’
দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সারাদিন না খেয়ে ১০০ পিস চামড়া সংগ্রহ করেছে। ভেবেছিলাম ভালো দাম পাবো, কিন্তু হাটে এসে হতাশ হয়েছি।’
রায়পুর মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক জানান, ‘আমরা ৩০০ পিস চামড়া এনেছি, কিন্তু যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তাতে অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। সরকারের নির্ধারিত দাম বাস্তবে কার্যকর হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
অন্যদিকে, বালিকান্দি চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকার লবণ দিয়ে সহযোগিতা করছে, এটি ভালো উদ্যোগ। তবে চামড়া সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে অনেক সময় মান নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ট্যানারিতে বিক্রি করতে গিয়ে আমরা সমস্যায় পড়ি।’
চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, মৌলভীবাজার সদর এলাকা থেকে শনিবার কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ হাজার পিস চামড়া সংগ্রহ করা হবে এবং দুই দিন মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার পিস।
তবে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাটে কিছু আড়তদার সিন্ডিকেট করে দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত চামড়া সংগ্রাহকরা।
এদিকে সন্ধ্যায় হাট পরিদর্শনে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘আগামীকাল থেকে হাটে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। এখানে লবণের কোনো সংকট নেই, প্রয়োজনে আরও লবণ দেওয়া হবে। তবে মাদ্রাসাগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চামড়া সংরক্ষণ করে পরে বিক্রির জন্য।’
]]>