চাকুরির জন্য দাড়ি কাটতে বললে কী করবেন?

৪ সপ্তাহ আগে
ইসলামে দাড়ি রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব ও এটি অন্তত এক মুষ্ঠি পরিমাণ হওয়া আবশ্যক। লম্বা দাড়ি রাখা সব নবীদেরই আমল ছিলো। তাই এ আমলের গুরুত্ব অনেক অনেক বেশি।

ইসলামের দৃষ্টিতে দাড়ি রাখার বিধান

 

দাড়ি রাখা ওয়াজিব। এক মুষ্ঠি পরিমাণ হওয়া আবশ্যক। এটি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের ইমামদের সর্বসম্মত মত। এক মুষ্ঠির কম রাখা বা সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হারাম, এটি কবিরা গুনাহ হিসেবে গণ্য।

 

আরও পড়ুন: টাকা ছাড়াই অন্যকে সহায়তা করার ৭ উপায়

 

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর, দাড়ি লম্বা রাখ এবং গোঁফ ছোট কর।’ (বুখারি ৫৮৯৩, মুসলিম ৬০০)


আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, সেটি তার হৃদয়ের তাকওয়ার পরিচায়ক।’ (সুরা আল-হাজ: ৩২)


যদি চাকরির জন্য দাড়ি কাটতে বলে তাহলে আপনার কিছু করণীয় আছে। প্রথমে ধৈর্য ধারণ করুন। আপনার সমস্যার সম্মুখীন হওয়া আল্লাহর জন্য ধৈর্য প্রদর্শনের একটি পরীক্ষা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা আল-আনফাল: ৪৬)

 

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ধৈর্যের চেয়ে উত্তম ও ব্যাপকতর কল্যাণ কাউকে প্রদান করা হয়নি। (সহিহ বুখারি ১৭৪৫)


নরম ভাষায় বুঝিয়ে বলুন। আপনার কর্তৃপক্ষকে সুন্দর ও মমতার সঙ্গে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে, ইসলামের দৃষ্টিতে দাড়ি রাখা একটি ফরজ বিধান এবং এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। প্রয়োজনে এমন ব্যক্তির সহায়তা নিন, যার কথা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতে পারে।

 

চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত। যদি আপনার আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী হয় এবং আপনি বিকল্প উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন, তবে বিনা দ্বিধায় চাকরিটি ছেড়ে দিন। আল্লাহ বলেন, 

 

যে কেউ আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না। (সুরা আত-ত্বালাক: ২-৩)

 

বিকল্প ব্যবস্থা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যদি বিকল্প কোনো উপার্জন ব্যবস্থা না থাকে, তবে সাময়িকভাবে চাকরিটি ধরে রাখুন আর আল্লাহর কাছে তাওবা করে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। পাশাপাশি নতুন চাকরি খুঁজতে থাকুন।

 

আরও পড়ুন: নবজাতকের জন্য যেভাবে দোয়া করবেন

 

তবে ইসলামি মূলনীতি মনে রাখবেন, ‘সৃষ্টির আনুগত্য তখনই বৈধ, যখন তা স্রষ্টার প্রতি অবাধ্যতা সৃষ্টি না করে।’ রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘অসৎকাজে কোনো আনুগত্য নেই; আনুগত্য কেবল সৎকাজের ক্ষেত্রেই হতে হবে।’ (সহিহ বুখারি ৭১৪৫)


আপনার সমস্যার সমাধান খুঁজতে সর্বোপরি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করুন এবং ধৈর্যসহ নিজের ঈমান রক্ষা করার চেষ্টা করুন। ইসলামি বিধান মেনে চলতে গিয়ে আপনাকে যে কোনো ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হলে, সেটিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করুন। সঠিক পথ অনুসরণে দৃঢ় থাকুন, আল্লাহ আপনার জন্য উত্তম পথের ব্যবস্থা করবেন ইনশাআল্লাহ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন