শুক্রবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, চাকসুর কার্যনির্বাহী কমিটিতে মোট ২৮টি পদ থাকবে। এর মধ্যে ২৩টি কার্যকরী ও ৫টি নির্বাহী সদস্য পদ। পূর্ববর্তী গঠনতন্ত্রে পদসংখ্যা ছিল ১৮টি, যেখানে নির্বাহী সদস্য ছিলেন ১০ জন; নতুন গঠনতন্ত্রে তা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও অধিকার প্রতিফলনের লক্ষ্যে এবং সমস্যা দ্রুত সমাধানে এই কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন পদগুলোর মধ্যে রয়েছে গবেষণা, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, দফতর ও ছাত্রীকল্যাণসংক্রান্ত সম্পাদক এবং সহকারী সম্পাদক পদ।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো, দফতর সম্পাদক পদটি পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত, আর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক পদটি নির্ধারিত হয়েছে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য। এছাড়া আগের ‘সমাজসেবা সম্পাদক’ ও ‘উপ-সমাজসেবা সম্পাদক’ পদ দুটি পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক’ এবং ‘সহ-সমাজসেবা, পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক’।
আরও পড়ুন: চবিতে জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া
নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ও আবাসিক শিক্ষার্থীরাই ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন। স্নাতক, মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বয়স ৩০ বছরের নিচে থাকতে হবে।
সান্ধ্যকালীন, এক্সিকিউটিভ, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনের আওতার বাইরে থাকবেন। এমনকি এমফিল বা পিএইচডি পর্যায়ের কোনো শিক্ষার্থী যদি শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন, তবে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।
চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন জানান, গঠনতন্ত্র হাতে পাওয়ার পর দ্রুত সভা ডেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া, গঠনতন্ত্রে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ সকল গণতান্ত্রিক চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
]]>