মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তফসিল ও রোডম্যাপ ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অথচ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। এতে শিক্ষার্থীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে দাবি করেন তারা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, এই প্রশাসন হচ্ছে ঠেলা গাড়ির মতো যতক্ষণ ঠেলা দিবে, ততক্ষণ চলবে। তাই আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোনো অধিকারই আদায় হয় না। আমরা চাকসু নির্বাচনের যৌক্তিক দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসান হাবিব বলেন, জুলাই আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে যতবার অধিকার আদায়ের প্রশ্নে দাঁড়াতে হয়েছে, ততবারই চাকসুর অভাব টের পেয়েছি। চাকসু থাকলে শিক্ষার্থীদের এমন বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়াতে হতো না।
আরও পড়ুন: চবিতে প্রভোস্টের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলন, কর্মচারী বরখাস্ত
অন্যদিকে, শিক্ষার্থী রোমান রহমান জানান, চাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও প্রতিবারই আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। এবার আর আশ্বাসে কাজ হবে না, রোডম্যাপ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তিন দশক পার হলেও আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সম্প্রতি সারাদেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন জোরদার হচ্ছে, যার ধারাবাহিকতায় চবিতেও এই দাবিতে চাপ বাড়ছে প্রশাসনের ওপর।