চাকসু নির্বাচন তফসিল ঘোষণার অনুষ্ঠানে বাগ্‌বিতণ্ডা

১ সপ্তাহে আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও প্রশাসন। নির্বাচনের গঠনতন্ত্র বিশুদ্ধ না হওয়ার অভিযোগ তুলেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর রোববার। 

 

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অডিটোরিয়ামে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা অনুষ্ঠানে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন।
 

তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেন শিক্ষার্থীরা। গঠনতন্ত্র সংশোধন না হলে নির্বাচন বিশুদ্ধ হবে না বলে অভিযোগ করেন তারা। এসময় উপস্থিত প্রশাসনের সঙ্গে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয় তাদের। এতে অডিটোরিয়ামে একধরনের হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
 

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আল মাশনুন প্রশাসনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘নির্বাচনী গঠনতন্ত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সংশোধন না করে নির্বাচন করলে তা কীভাবে বিশুদ্ধ হবে!’

আরও পড়ুন: ছাত্রদলের ২৮ নেতাকর্মী নিলেন রাকসু নির্বাচনের ফরম

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন অক্টোবরের ১২ তারিখ, কিন্তু প্রচারণার জন্য আমাদের সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪ দিন। তাও পুজোর বন্ধের পর। বন্ধের পর শিক্ষার্থীরা সাধারণত কিছুটা দেরিতে ক্যাম্পাসে আসে। ফলে প্রচারণার জন্য এই সময়টা অনুকূল না। প্রচারণার জন্য অনুকূল সময় দরকার। এছাড়া নির্বাচনের অন্তত ১৫ দিন আগে পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়েছি আমরা, সেটা নিয়েও তারা কিছু বলেন নাই।’
 

এদিকে আলোচনার মাধ্যমে তফসিলের যাবতীয় বিষয়াদি সংশোধনের সুযোগ আছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এটিই চূড়ান্ত নয়। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা বা অভিযোগ সমাধান করতে পারি।’


তবে গঠনতন্ত্র তাদের দায়িত্ব নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাজ বলে জানান চাকসু নির্বাচন কমিশনের মেম্বার সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. আরিফুল হক সিদ্দিকী। তবে যাবতীয় বিষয়াদি আলোচনার মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ আছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের থেকে যেসব দাবি পাওয়া গেছে, সেসব ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো। তাদের সমস্যাগুলো যতটুকু সমাধান করা যায় সে চেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখব।’
 

আরও পড়ুন: জবি ছাত্রদলের ২ নেতার ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর ৫৮ বছরে মাত্র ৬ বার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩ যুগ পর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত চাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪ টি বিভাগ, ১৪ টি হল ও ১ টি হোস্টেলের মোট ২৫,৭৫২ জন শিক্ষার্থী ভোটার তালিকায় রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন