শনিবার (৫ এপ্রিল) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত চিঠিতে নিজাম মীরবহরকে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর কাঁঠালিয়া উপজেলার ৩ নম্বর আমুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই নিজাম মীরবহরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা দেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আখতার হোসেন নিজাম মীরবহর দলীয় পদে থেকেও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি দলের ত্যাগী নেতা ফজলে খোদা সুমন খলিফার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে তাকে স্বৈরাচার বিরোধী মামলায় আসামি করা হয়েছে, যাতে তাকে আওয়ামী ঘরানার ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।
এছাড়া ২০২৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির সিদ্ধান্ত অমান্য করে তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সিকদারের পক্ষে মাঠে কাজ করেছেন এবং নেতাকর্মীদের সেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংঘর্ষে যুবদল নেতাসহ আহত ১৫
একটি অডিও ক্লিপের মাধ্যমে প্রার্থীকে ভোট দিতে বলা এবং তার পক্ষেই নিজে কাজ করার তথ্যও চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এই প্রেক্ষিতে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না—তা জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত আখতার হোসেন নিজাম মীরবহর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা বিএনপি অফিস যারা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের নির্দেশে ভাঙচুর করেছে, তাদেরই আসামি করা হয়েছে। তাদের একজন সুমন খলিফা। ফলে মামলায় শাহজাহান ওমরও আসামি হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় সুমন খলিফা কোটি কোটি টাকার কাজ নিয়েছেন এবং এখনো তা চলমান। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কোনো তদন্ত ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, যা অনভিপ্রেত।’
]]>