সোমবার (২ জুন) দুপুরে মাদারগঞ্জ পৌর এলাকার জোনাইল বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক অন্য দুজন হলেন: উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম (৪৭) এবং যুবদল কর্মী সোহাগ মিয়া (২৯)।
জাহাঙ্গীর আলম
হেলাল উদ্দিন জোনাইল এলাকার আব্দুস ছালাম ফকিরের ছেলে, মো. শফিকুল ইসলাম পৌর এলাকার মুসলিমাবাদ এলাকার মৃত হায়দার আলী মণ্ডলের ছেলে এবং সোহাগ মিয়া জোনাইল এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মাদারগঞ্জ পৌর এলাকার জোনাইল বাজারে সরকারি দোকান বন্দোবস্ত নিয়ে নাজমুল হাসান নামে এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে মনোহারি ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যুবদল নেতা হেলাল উদ্দিন, মো. শফিকুল ইসলাম ও সোহাগ মিয়া তার দোকানটি দখলের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। নাজমুল হাসান ছাড়তে না চাইলে তারা জোরপূর্বক দোকানটি দখল করে নেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নেতার কারখানা থেকে কুকি-চিনের পোশাক তৈরির কাপড় সরবরাহ, আটক ৪
তারা আরও জানান, এ ঘটনায় নাজমুল হাসান মাদারগঞ্জ সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা যুবদল নেতাদের সাবধান করেন এবং দোকানঘর ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর কথায় কর্ণপাত না করে দোকানটি দখলে রাখেন তারা।
সোমবার দুপুরে যৌথ বাহিনী জোনাইল বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মাদারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে দোকান দখলের অভিযোগে সেনাবাহিনী তিনজনকে আটক করে সোপর্দ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আগামীকাল সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।