সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত ব্যবসায়ীকে গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত ব্যবসায়ী আবু ইউসুফের স্ত্রী জুলফা আক্তার।
লিখিত অভিযোগে আহত ইউসুফের স্ত্রী জানান, তার স্বামী আবু ইউসুফ কর্ণগোপ এলাকায় রহিম মার্কেটে দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙারির ব্যবসা করছেন। গত এক মাস আগে স্থানীয় সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন ইউসুফের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ইউসুফকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।
ভয়ে ইউসুফ কয়েকদিন আগে চাঁদা বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিলেও দাবি করা বাকি টাকা দেয়ার জন্য তাকে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন সন্ত্রাসীরা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি মহিলা দল নেত্রীর, ভিডিও ভাইরাল
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে শফিক ও তার সহযোগী ৭-৮ জন বাকি টাকা নিতে ইউসুফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। এ সময় ইউসুফ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ইউসুফের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এলে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও দেখা যায় এই নির্যাতনের ঘটনা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী ইউসুফকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী ইউসুফের স্ত্রী জুলফা আক্তার বাদী হয়ে অভিযুক্ত শফিকসহ আটজনকে আসামি করে সোমবার রাতেই রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর স্টেশনে চীনা নাগরিকের আকুতির দৃশ্য ভাইরাল, যা জানাল পুলিশ
ঘটনার সত্যতা সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী গত রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তার অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছি। আসামিদের গ্রেফতারে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি অভিযুক্ত শফিফুল ইসলাম ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়িসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’