শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আল আমিন রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রধানিয়ার ছেলে। তিনি এবার চাঁদপুর গনি আদর্শ স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। বর্তমানে তাদের পরিবার চাঁদপুর শহরের মমিনপাড়া এলাকায় বসবাস করে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আল আমিন বাসা থেকে বের হয়ে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী হাই স্কুল মাঠ সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য 'অঙ্গীকার' এর পাদদেশের লেকের পাড় এলাকায় কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। পরে রাত ৯টার পর হঠাৎ লেক থেকে ভাসমান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে আনার পর তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান স্বজনরা।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে আল আমিনের সঙ্গে থাকা সহপাঠী মামুন, দিদার গাজী, জাহেদ, দিদার ইসলাম, মঈন ইসলাম, শামীমসহ মোট ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: শেরপুরে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার
আল আমিনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ভিড় করেন তার স্বজন ও এলাকার মানুষজন।
নিহতের পরিবার দাবি করেছেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে লেকের পানিতে ফেলে দিয়েছে।
ঘটনার পরপরই চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানেন। এ সময় স্বজনরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।