চাঁদপুরে মরদেহ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ

২ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ফরহাদ জুয়েল নামের যুবকের হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।

রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে ছেংগারচর বাজারে মতলব উত্তর থানার সামনে মরদেহ নিয়ে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়।

 

ফরহাদ জুয়েলকে হত্যার এই ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ‘খুনিদের গ্রেফতার করো’, ‘ফরহাদের হত্যার বিচার চাই’, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ -এমন নানা ধরনের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে থানার সামনের এলাকা।

 

আরও পড়ুন: তারাকান্দায় সেপটিক ট্যাংকে নারীর মরদেহ, ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার প্রেমিকের

 

মানববন্ধনে নিহত ফরহাদ জুয়েলের বাবা মো. আবুল হাশেম বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি, এখন চাই বিচার হোক। দোষীরা যেন কোনোভাবেই রেহাই না পায়।’

 

স্ত্রী সূরবী আক্তার বলেন, ‘আমার ছোট একটা বাচ্চা আছে, সে এখন পিতাহারা। আমি শুধু বিচার চাই, আর কোনো পরিবার যেন এভাবে ভেঙে না যায়।’

 

নিহতের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা বিচার চাই, যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।’

 

পরে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল কবির ও মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হক বিক্ষোভ মিছিল গিয়ে তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দেন তাদের। 

 

সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল কবির জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ত সন্দেহে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। গুরুত্বসহকারে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে।

 

আরও পড়ুন: টঙ্গীতে গৃহকর্মীকে নির্যাতন, স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আটক

 

এদিকে, রোববার দুপুরে নিহত জুয়েলের বাবা আবুল হাশেম ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

 

নিহত ফরহাদ জুয়েল কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে নিহত জুয়েল। তার স্ত্রী এবং আবু সুফিয়ান নামে চার বছরের এক শিশু সন্তান রয়েছে।

 

গত ৪ জুলাই শুক্রবার সকালে ফরহাদ জুয়েল বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিখোঁজের একদিন পর গতকাল শনিবার হাইমচর উপজেলার নীলকমল এলাকার মেঘনা নদীতে ফরহাদের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। তার শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন