চলতি সপ্তাহে আরও ৪ ইসরাইলি নারী জিম্মি মুক্তি পাবে: বাইডেন

১ সপ্তাহে আগে
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তিন ইসরাইলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। চুক্তির আওতায় চলতি সপ্তাহে হামাসের হাতে আটক আরও চার নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সময় রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

 

তিনি বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে আরও চার ইসরাইলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। দিনের শুরুতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীও একই তথ্য জানিয়েছে।

 

পোস্টে বাইডেন লেখেন, ‘প্রতি সাত দিনে তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে, যার মধ্যে প্রথম ধাপে কমপক্ষে দুজন মার্কিনিও থাকবে। আমরা তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি।’

 

আরও পড়ুন: ৩ জিম্মির বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরাইল

 

এদিকে রোববার সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের নিউ চার্লসটন শহরে এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, গাজায় জিম্মি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যদিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ‘আমূল পরিবর্তন’ আসবে।

 

গাজায় ইসরাইলের অভিযানকে সফল দাবি করে তিনি বলেন, সীমাহীন যন্ত্রণা, ধ্বংস ও প্রাণহানির পর আজ থেকে গাজায় কামান-বন্দুকের শব্দ বন্ধ হলো। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান অত্যন্ত সফল।

 

কাতার, মিশরের পাশাপাশি গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে  হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে।

 

একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে।

 

আরও পড়ুন: যেভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাল হামাস-ইসরাইল

 

দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’।

 

তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সঙ্গে মৃত ইসরাইলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেয়া হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন