চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনের ১০ সিদ্ধান্ত, আজই মামলা

৪ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নতুন গঠিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি ও সম্প্রীতি কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া সমস্যা সমাধানের জন্য ১০টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন।


সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয়ভার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে এবং এখন পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করে এসেছে।

২. শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা মনিটরিং করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচজন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে।

৩. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন একটি মডেল থানা স্থাপনের বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৪. রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুলিশ বক্স স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

৫. আজকের (সোমবার) মধ্যে উক্ত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


আরও পড়ুন: চবিতে স্থানীয়দের হামলায় ১৫শ’ শিক্ষার্থী আহত, আইসিইউতে ২


৬. সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

৭. পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় ঠিক করার জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকাল ৩টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়।

৮. বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন জোবরা অঞ্চলের বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।

৯. পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রত্যাহার না করার অনুরোধ করা হয়।

১০. শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি হটলাইন সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন