শুক্রবার (২০ জুন) শিক্ষার্থীদের একটি দল মায়া লেক এলাকায় ঘুরতে গিয়ে বাঁশের তৈরি একটি গেট দেখতে পান। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এ ধরনের বাধা দেখে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি ঘিরে আরও শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র সমালোচনা দেখা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলেই কোনো জায়গা ইজারা দিতে পারে, কিন্তু সেটি যেন শিক্ষার্থীদের চলাচলের স্বাধীনতায় বাধা না সৃষ্টি করে, তা নজরদারিতে রাখা উচিত। আমাদের কাছে এটি দখলদারিত্বের সূচনা বলেই মনে হয়েছে।’
আরেক শিক্ষার্থী তাহসান হাবিব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইঞ্চি জমি শিক্ষার্থীদের অধিকারভুক্ত। কেউ যদি লিজ বা ইজারার নামে প্রবেশাধিকার সংকুচিত করে, সেটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আরও পড়ুন: খাতা পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ না পেয়ে চবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
তবে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘শুধু বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো বাধা নেই। ‘সর্বসাধারণ’ শব্দটি ব্যবহারে ভুল হয়েছে, যা দ্রুত সংশোধন করা হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। সম্ভবত আগের প্রশাসন এ লিজ দিয়েছে। রোববার আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের চলাচলে বাধা দেয়া যাবে না।’
]]>