শনিবার (২৮ জুন) সকালে গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ফয়সাল আহেমদের মাকে নিয়ে নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে নির্মিত বিএসটিআই-এর এই আধুনিক কার্যালয় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতি আনবে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।
উদ্বোধনের পর তিনি নতুন ভবনের বিভিন্ন আধুনিক ল্যাব ঘুরে দেখেন এবং বৈদ্যুতিক, প্রকৌশল, রাসায়নিক ও ফিজিক্যাল ল্যাবসমূহের সরঞ্জাম ও সক্ষমতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই ভবনে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ আধুনিক ল্যাবরেটরি ও সকল আধুনিক সুবিধা।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা পণ্যের মান পরীক্ষা এতদিন ঢাকাকেন্দ্রিক ছিল। ফলে আমদানি-রফতানিকারকদের বারবার ঢাকায় যেতে হতো, যা সময় ও খরচ বাড়াত। নতুন এই ভবনের মাধ্যমে এখন চট্টগ্রামেই ৩১৫টি পণ্যের মান নির্ধারণ ও পরীক্ষা সম্ভব হবে। এর ফলে ঢাকামুখীতা কমবে এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে হবে ফ্রি ট্রেড জোন, আমদানি-রফতানিতে বাড়বে গতি
বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর আজকের দিনটি আমাদের জন্য গর্বের। ১৯৫৬ সালে প্রথম কাজ শুরু হয়, পরে ৮০’র দশকে কিছু সংস্কার হয়েছিল। আজ পূর্ণাঙ্গ সেবা নিশ্চিত করতে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সেবার মান ও সক্ষমতা বাড়বে এবং কম সময়ে মান পরীক্ষা সেবা নিশ্চিত হবে। ভবিষ্যতে শতভাগ পণ্যের মান পরীক্ষা এখান থেকেই নিশ্চিত করা হবে।
গণপূর্ত বিভাগের চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম শাহজালাল মজুমদার বলেন, উন্নত বিশ্বের আদলে তৈরি করা হয়েছে এই ভবন। সব ধরনের আধুনিক সুবিধা ও প্রযুক্তি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি টাকা।