বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গীবাজার ব্রিজঘাট এলাকায় মেঘনা কমিউনিটি সেন্টারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আফছার হোসেন চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালে সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের ত্রি-পক্ষীয় সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়া নৌযান শ্রমিকদের ১১ দফা অমীমাংসিত দাবি এখনও ঝুলে আছে। বক্তারা এমভি আল-বাখেরা জাহাজে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। নিহত বাবুর্চি রানা কাজীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহত সুকানি জুয়েল মিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও উঠে আসে বক্তৃতায়।
এছাড়া পাইপলাইনে তেল পরিবহনকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী আখ্যা দিয়ে বক্তারা এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে পণ্য পরিবহনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও সংগঠনবিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণের কথাও বলেন তারা।
আরও পড়ুন: সংকটে পাঁচ শতাধিক মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য, কাউন্টার দখল
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ, প্রকাশ দত্ত, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা হাজী শেখ মো. ইছামিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও নুর আলম হোসেন, প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান, নির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম (শামিম) ও জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়াও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ— নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, আশুগঞ্জ, বাঘাবাড়ি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, জাহাজি শ্রমিক সংঘ, গার্মেন্টস ফেডারেশন, নির্মাণ শ্রমিক সংঘ এবং হোটেল-রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘সরকার ও মালিক পক্ষের উদাসীনতা এবং দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। দাবি বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়া হলে, শ্রমিকেরা বাধ্য হয়ে কর্মবিরতিতে যেতে পারে।’
তিনি সকল শ্রমিককে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।