চট্টগ্রামে প্রথমবার জোড়া শিশুর সফল বিভাজন সার্জারি

২ দিন আগে
চট্টগ্রামে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে যমজ জোড়া শিশুর সফলভাবে বিভাজন সার্জারি করেছে। অস্ত্রোপচারের পর দুই নবজাতকই সুস্থ রয়েছে। জন্মের ২৩ ঘণ্টার মধ্যে শিশু দুটির অস্ত্রোপচার করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জোড়া লাগানো শিশু আলাদা করার ঘটনা বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

গত ৬ মে নগরের অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম হয় যমজ এই শিশুদের। পরদিন ৭ মে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা হয়। মাত্র ৩ ঘণ্টায় রিয়াসাত ও রেনিশ-এর সফল বিভাজন সার্জারি করা হয়।


কর্তৃপক্ষ বলছে, চট্টগ্রাম ও দেশের চিকিৎসা খাতে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। জন্মের সময় ওজন ছিল তাদের যথাক্রমে ৯৭৩ গ্রাম ও ১০৪৫ গ্রাম। সফল সার্জারির পর বর্তমানে তাদের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২৫৫ গ্রাম ও ১৩৫০ গ্রাম।
নবজাতক যমজ শিশুদের বাড়ি চট্টগ্রামের খুলশি।


বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এই ব্যতিক্রমী চিকিৎসা সাফল্যের বিবরণ তুলে ধরেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।


কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে সংঘটিত যমজ জোড়া শিশুর বিভাজন সার্জারি। এটি একটি নজির। চট্টগ্রামে প্রথমবার। বাংলাদেশে ষষ্ঠ বারের মতো এমন জটিল ও সফল অপারেশন সম্পন্ন হলো।


আরও পড়ুন: ভারতের যে হাসপাতালে একদিনে ৯ জোড়া যমজ শিশুর জন্ম


৩ ঘণ্টাব্যাপী এই জটিল সার্জারিটি সম্পন্ন করেন প্রখ্যাত শিশু সার্জন ডা. আদনান ওয়ালিদ, যেখানে গাইনোকলোজিস্ট হিসেবে সহযোগিতা করেন ডা. রেশমা শারমিন। এই অপারেশনে নেতৃত্ব দেন ১৮ সদস্যের একটি অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী দল, যার মধ্যে ৮ জন ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওয়াহেদ মালেক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাফিদ নবী, সিইও হেলাল উদ্দিন, ডেপুটি চিফ অফ মেডিকেল সার্ভিসেস ফজল-ই-আকবর, অ্যানেস্থিওলজিস্ট ডা. মাসুদ এবং রিয়াসাত ও রেনিশের বাবা-মা।


অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওয়াহেদ মালেক বলেন, ‘এই সাফল্য দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ভবিষ্যতেও জটিল চিকিৎসা সেবায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন