নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মফিজ উদ্দিন বলেন, বাকলিয়া থানার জোড়া খুনের মামলায় আসামি সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর বাইরে নগরের চান্দগাঁও থানার পাঁচটি, বায়েজিদ বোস্তামী থানার একটি ও হাটহাজারী থানার দুটি মামলায় সাজ্জাদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা। শুনানি শেষে আদালত গ্রেফতার দেখান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোট ১৩ জন সন্ত্রাসী ৬টি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এই পরিকল্পিত হামলা চালায়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বোয়াজিদ বোস্তামী এলাকার তালিকাভুক্ত অপরাধী সরওয়ার হোসেন বাবলা, যিনি শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান।
আরও পড়ুন: শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্নাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
এ হামলার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য ছিল বোয়াজিদ বোস্তামী ও আশপাশের এলাকার অপরাধীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদের গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ নেওয়া। নগরের বোয়াজিদ বোস্তামী এলাকার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খান প্রকাশ শিবির সাজ্জাদ, যিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। হামলাকারীরা তিন কিলোমিটার জুড়ে ধাওয়া করে এই গুলির ঘটনা ঘটায়।
গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় নগরের বাকলিয়া থানায় খুনের স্বীকার বখতেয়ার উদ্দিন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না (৩৭), মোহাম্মদ হাছান (৩৬), মোবারক হোসেন ইমন (২২), খোরশেদ (৪৫), রায়হান (৩৫) ও বোরহান (২৭)।
আরও পড়ুন: শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের সচেতনতামূলক মাইকিং
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে আসামিরা গুলি করে মানিকসহ দু’জনকে হত্যা করেছে। ছোট সাজ্জাদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।