মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ এই যৌথ অভিযান চালায়।
রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা আবু তাহেরের মৃত্যুর পর তার স্বজনরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেলে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। নিহতের আত্মীয় রাকিব বলেন, ‘আমি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গেছি, তারা সমিতিতে পাঠাল। ৫ হাজার টাকা দাবি করে, পরে ৩ হাজার টাকায় রাজি হয়। অথচ ভাড়া আসার কথা ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা।’
এ ঘটনায় দ্রুত অভিযান শুরু করে বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসন। কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। মূল্য তালিকা না থাকা এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে সমিতিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন অচল মেশিনে ধুঁকছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাফিল জাহান বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সিন্ডিকেট ভাড়া আদায় করছে এমন অভিযোগ অনেকদিন ধরেই আসছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতেই আমাদের অভিযান।’
এছাড়া অভিযোগ আছে, সিরিয়াল সিস্টেমের নামে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের একটি চক্র রোগী ও লাশ পরিবহনে কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করে থাকে। লাশ পরিবহনে নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় এই দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কথা আমরাও শুনেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে কেউ চাইলে বাইরে থেকেও অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে পারেন।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে মেডিকেল ঘিরে সমিতির নিয়ন্ত্রণে দেড় শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমেই মূলত লাশ ও রোগী পরিবহন বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে।
]]>