রোববার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের মতো এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিন্ডিকেটে অনুমোদনের পর সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারবে বলে জানায় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, `প্রতি কোর্সের খাতা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ২০০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদন করার পর প্রথমে খাতা স্ক্রুটিনি (পুনঃনিরীক্ষণ) করা হবে। স্ক্রুটিনিতে যদি সন্তোষজনক সংশোধন হয়, তাহলে ২০০০ টাকা ফেরত দেয়া হবে এবং পুনর্মূল্যায়ন আর করা হবে না। তবে স্ক্রুটিনিতে সন্তুষ্ট না হলে খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হবে, এক্ষেত্রে টাকা ফেরতযোগ্য নয়।'
তিনি আরও বলেন, `পুনর্মূল্যায়নের ফলে ফলাফল পূর্বের চেয়ে বাড়তেও বা কমতেও পারে। ফলাফল কমে গেলে শিক্ষার্থীকে তা মেনে নিতে হবে।'
আরও পড়ুন: এইচএসসির খাতা মূল্যায়নে অনিয়ম: ৮ পরীক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, `চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন থেকে প্রয়োজন মনে করলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরীক্ষার খাতা পুনঃমূল্যায়নের সুযোগ পাবে। শিক্ষার্থীদের বহুদিনের দাবি পূরণ হলো আজ।'
প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার কোনো একটি কোর্সে কম নাম্বার পাওয়ার অভিযোগ করেছে অনেক শিক্ষার্থী। কখনো আবার একটি ব্যাচের সকলের সিজিপিএ কম আসার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু খাতা পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ না থাকায় বরাবরই ক্ষোভ প্রকাশ করে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। সবশেষ গত ২৯ জুন বাংলা বিভাগের ৫৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফলে ‘অবিচারমূলক আচরণের’ অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল এবং খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন।