সবশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের নিলামে সর্বোচ্চ দার দাতার কাছে ২০টি গাড়ি বিক্রির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলেও ১৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট হওয়ার কারণে পুরো প্রক্রিয়া আটকে যায়। বিক্রি হয়েছে মাত্র একটি গাড়ি।
শুধুই এই ১৯টি মামলা নয়, আমদানি সংক্রান্ত নানা জটিলতায় বন্দরের শেডে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে আছে। বিচারাধীন মামলার কারণে নিলামে বিক্রি করতে না পারায় চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এসব গাড়ি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে অখালাসকৃত পণ্য দ্রুত নিলামে বিশেষ আদেশ জারি
চট্টগ্রাম কাস্টমস বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, আমদানিকারকরা পণ্য খালাসও করে না। নিলামে তুলতে চাইলে আইনের আশ্রয় নিয়ে নিলাম প্রক্রিয়াকে আইনি জটিলতায় ফেলে দিয়ে সময় দীর্ঘায়িত করে। এতে একদিকে যেমন নষ্ট হয় পণ্যগুলো, তেমনি রাজস্ব হারায় সরকার।
এ অবস্থায় বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। বন্দরের অভ্যন্তরে শেডে ১২ থেকে ১৫ বছরের পুরাতন ১৯৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রথম পর্যায়ে নিষ্পত্তির আবেদন জানানো হয়েছে।
এসব গাড়ি বিক্রি করে অন্তত ৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে পণ্যগুলো নিলামে তোলা সম্ভব হবে, এতে বড় অঙ্কের রাজস্ব পাবে সরকার।
আরও পড়ুন: এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর
আইনি বাধ্যবাধকতায় যেমন মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে নিলামযোগ্য শত শত গাড়ি বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকায় এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে চিঠি চালাচালিও হয় নিয়মিত। তারপরেও আসছে না জলিতার সমাধান।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, আদালতের রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আদালত যদি বলে গাড়িগুলো ধ্বংস করতে, তবে সেটিই করা হবে। জায়গা খালি করতে আদালতের সিদ্ধান্তই মেনে চলা হবে।
এর আগেও মামলা জটিলতায় নিলামে বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে অন্তত ৭৪টি গাড়ি কেটে টুকরো করে ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।
]]>