বুধবার (২১ মে) সকালে নিহতের ছোট ভাই আরমান হোসেন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমারকাটা সিকদার পাড়ার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ সুজন, তার মা ফাতেমা বেগম, বোন রেশমি আক্তার, রচনা আক্তার ও সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা সুমাইয়া।
আসামি সাজ্জাদ হোসেন সুজন, তার মা, বোন ও স্ত্রীসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার চারজনই এজাহারনামীয় আসামি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে যুবককে গুলি করে হত্যা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত আরিফ ও তার চাচাতো ভাই খাইরুদ্দিনসহ স্থানীয় ছোয়ালিয়াপাড়া স্টেশন থেকে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়কে পৌঁছালে আগে থেকে উৎপেতে থাকা একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সুজন ও অপরাপর আসামিরা আরিফ ও খাইরুদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে ও আহত খাইরুদ্দিনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত খাইরুদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জামায়াতের কর্মী খুন
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাঘাতে আরিফ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগ সুজনসহ চারজনকে কৈয়ারবিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আদালতে উপস্থাপন করা হলে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, নিহত আরিফুল জামায়াত ইসলামীর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির বায়তুল মাল সম্পাদক।